অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৪-এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন এ আদেশ দেন।

দদুকের পক্ষে প্রিসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল তাদের বিরুদ্ধে চার্জ পড়ে শুনালে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান। এর পর আদালত তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

আগামী ১৫ই জুলাই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সময় ইউনূসসহ অভিযুক্তরা নিজেদের নিরাপরাধ দাবি করেন। এ মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে।

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের পাওনা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস। এদিন মামলার শুনানি দেখতে আসেন ইউনূসের সমর্থক দেশী বিদেশি পর্যবেক্ষকরা।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন শুনানির শুরুতে ডক্টর ইউনূস ছাড়া অন্য আসামীদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে বলেন। কিন্তু ইউনুসও তাদের সঙ্গে কাঠগড়ায় দাঁড়ান। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান।

এ সময় ইউনূসসহ অভিযুক্তরা নিজেদের নিরাপরাধ দাবি করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের অব্যহাতির আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং ইউনূসসহ ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচার শুরুর আদেশ দেন। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

পরে আদলতের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো এবং অভিযোগ গঠন নিয়ে কথা বলেন ডক্টর ইউনূস ও তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন । এ মামলায় দুদকের পক্ষে ৩১ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আগামী ১৫জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।